প্রকাশিত: Mon, Jul 3, 2023 11:41 PM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 1:28 AM

[১]সিলেটের বিভিন্ন জেলায় জলাবদ্ধতা, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত [২]উত্তরাঞ্চলে নদীর পানি বাড়ছে, নেত্রকোণায়ও বন্যার শঙ্কা

মুরাদ হাসান: [৩] রংপুর ও সিলেট বিভাগে অনেক অঞ্চলের মানুষ দিন কাটাচ্ছেন বন্যার আতঙ্ক নিয়ে। 

[৪] সুনামগঞ্জ থেকে তাছাদ্দুক রাজা ভারী বর্ষণে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি ঢুকেছে  কয়েকটি এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাটে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।

[৫] বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে সড়ক-রাস্তাঘাট। অনেক জায়গায় পানির স্রোতে সড়ক ভেঙে গেছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন  নিম্নাঞ্চলের মানুষ।

[৬] সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন,  সোমবার সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ ষোলঘর পয়েন্টে ৭.৯৭ সেমি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত  হয়। যা বিপদসীমার ১৭ সেমি ওপরে । একই সময়ে গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৭০মি.মি।

[৭] জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবিলায় ৪৪৯ টন জিআর চাল,২২ লাখ টাকা ও দুই হাজার শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে।

[৮] স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, তারাও সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। 

[৯] সিলেট প্রতিনিধি আশরাফ রাজু জানান, সিলেটে এ মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ৩০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটিকে চলতি মৌসুমের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

[১০] গোয়াইনঘাট উপজেলায় স্থানীয় বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা  পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা সদরের  সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

[১১] নেত্রকোনা থেকে দিলওয়ার খান জানান, কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উব্দাখালী, মহাদেও, বৈঠাখালী, মঙ্গলেশ্বরী, গুমাই ও গণেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

[১২] উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, রাস্তা, বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে।

[১৩] লালমনিরহাট থেকে মামুনুর রশিদ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে,  সোমবার তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয় ৫১.৯৭ মিটার, যা বিপদসীমার ১৭ সে.মি নিচে  ছিলো। 

[১৪] পাটগ্রাম পয়েন্ট ধরলা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয় ৫৭.৭৫ মিটার যা বিপদ সীমার ২৬০ সেন্টিমিটার নিচে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব